হাউ টু লিভ অন ২৪ আওয়ারস আ ডে: আর্নল্ড বেনেট
এই প্রবন্ধটি আর্নল্ড বেনেটের লেখা “How to Live on Twenty-Four Hours a Day” নামক একটি বইয়ের অংশবিশেষ, যা কীভাবে কার্যকরভাবে সময় ব্যবহার করা যায় তার ওপর আলোকপাত করে। বেনেট যুক্তি দেন যে, জীবনের অধিকাংশ মানুষই তাদের দিনের চব্বিশ ঘণ্টা সময় কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়, বিশেষত অফিসের আট ঘণ্টা কাজকে দিনের প্রধান অংশ মনে করার পর অবশিষ্ট সময়কে অবহেলা করে। তিনি পাঠকদের পরামর্শ দেন যেন তারা তাদের জীবনকে পুরোপুরি উপভোগ করার জন্য একটি “অভ্যন্তরীণ দিন” তৈরি করেন, যা বিকেল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বিস্তৃত। লেখক জোর দেন যে, জীবনে সন্তুষ্টির জন্য অভ্যাস পরিবর্তন করা এবং প্রতিদিনের কর্মসূচির বাইরেও সাত থেকে আট ঘণ্টা জ্ঞান ও আত্ম-উন্নয়নে ব্যয় করা জরুরি। এই প্রক্রিয়ার শুরুতে মন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একাগ্রতা (concentration) অনুশীলন এবং পরে শিল্পকলা, ইতিহাস বা দর্শন, এমনকি নিজেদের পেশার বৈজ্ঞানিক দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঠ গ্রহণে উৎসাহিত করা হয়। বইটি অতিরিক্ত উদ্দীপনা বা কঠোর নিয়মের দাস হওয়া থেকে বিরত থাকার মতো বিপজ্জনক প্রবণতা এড়িয়ে চলার সতর্কতা দিয়ে শেষ হয়েছে।
অধ্যায়ভিত্তিক সারসংক্ষেপ এবং মূল বিষয়বস্তু
How to Live on Twenty-Four Hours a Day থেকে নেওয়া উদ্ধৃতিগুলির ওপর ভিত্তি করে অধ্যায়ভিত্তিক সারসংক্ষেপ এবং মূল বিষয়বস্তু নিচে দেওয়া হলো।
সংস্করণের ভূমিকা
এই ভূমিকাটি বইয়ের শুরুতে স্থাপন করা হলেও এটি বইয়ের শেষে পড়ার জন্য বলা হয়েছে। বইটি নিয়ে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই বিরূপ ছিল না। তবে একটি গুরুতর সমালোচনা ছিল এই বক্তব্যের ওপর যে সাধারণ মানুষ তার কাজের প্রতি উৎসাহী হয় না এবং যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করতে চায়। লেখক স্বীকার করেন যে ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি সংখ্যালঘু অংশ আছে যারা তাদের কাজ উপভোগ করে এবং পূর্ণ শক্তি দিয়ে কাজ করে। তবুও লেখক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে এই ভাগ্যবান ও সুখী ব্যক্তিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। এই বইটি মূলত সেই ব্যক্তির জন্য লেখা হয়েছে যে অফিসে বা অফিসের বাইরে কোথাও প্রচেষ্টার জন্য প্রস্তুত নন।
মূল বিষয়বস্তু:
- সংখ্যালঘু কিছু মানুষ যারা তাদের দৈনন্দিন কাজকে উপভোগ করে, তাদের জীবনযাত্রার মান সেই সংখ্যাগরিষ্ঠদের তুলনায় ভালো যারা দিনের ১৬ ঘণ্টা কাজে কোনো আগ্রহ দেখায় না।
- যাদের কাজ অতিরিক্ত পরিশ্রমের, তাদের জন্য লেখক একটি কৌশল অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন: তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা।
- লেখক মনে করেন যে বেশিরভাগ মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘুমায়, এবং বহু ডাক্তার এই সিদ্ধান্তে একমত যে মানুষ “ঘুমিয়ে নিজেকে বোকা বানায়” (sleep themselves stupid)।
- তাড়াতাড়ি ওঠার জন্য, নিজের সর্বোচ্চ কল্যাণের বিষয়টিকে অন্য কোনো মানুষের (যেমন: চাকরের) তাৎক্ষণিক সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল না করে, রাতে ট্রেতে বিস্কুট, চা তৈরির সরঞ্জাম ও স্পিরিট-ল্যাম্প প্রস্তুত রাখার মতো তুচ্ছ মনে হওয়া কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে হবে।
I. THE DAILY MIRACLE (দৈনিক অলৌকিক ঘটনা)
মানুষজন কীভাবে অর্থ খরচ করে তা নিয়ে সমালোচনা করে, কিন্তু “দিনে চব্বিশ ঘন্টা কীভাবে বাঁচবেন” তা নিয়ে কোনো প্রবন্ধ লেখক দেখেননি। প্রবাদটি হলো “সময়ই অর্থ”, কিন্তু লেখক মনে করেন সময় অর্থের চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান; কারণ অর্থ অর্জন করা যায়, কিন্তু কেউ এক মিনিট সময়ও কিনতে পারে না। সময়ের সরবরাহ একটি দৈনিক অলৌকিক ঘটনা। প্রতিদিন সকালে আপনার মানিব্যাগটি আপনার জীবনের অপরিশোধিত চব্বিশ ঘন্টা দিয়ে জাদুকরীভাবে ভরে যায়। সময় চুরি করা যায় না এবং ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই সমান সময় পায়। সময় অপচয় করলেও এর সরবরাহ কখনও বন্ধ হয় না; তবে ভবিষ্যৎ থেকে ঋণ নেওয়া অসম্ভব—আপনি কেবল বর্তমান মুহূর্তটিই নষ্ট করতে পারেন। আপনার সুখ নির্ভর করে এই চব্বিশ ঘণ্টার সঠিক ব্যবহারের ওপর। লেখক জোর দেন যে আমরা সকলেই জানি আমাদের কাছে আছে এবং সর্বদা ছিল—যতটুকু সময় আছে তার সবটুকুই।
মূল বিষয়বস্তু:
- সময় অর্থের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান এবং এর সরবরাহ একটি দৈনিক অলৌকিক ঘটনা।
- সময়ের ক্ষেত্রে কোনো ভেদাভেদ নেই; সবাই সমান চব্বিশ ঘন্টা পায়।
- আমরা প্রায়শই নিজেদের বলি যে “আরো কিছুটা সময় পেলে আমি এটি পরিবর্তন করব,” কিন্তু আমাদের আর বেশি সময় কখনোই হবে না।
- জীবনের প্রতিটি বিষয় এই দৈনিক চব্বিশ ঘণ্টার কার্যকর ব্যবহারের ওপর নির্ভরশীল।
II. THE DESIRE TO EXCEED ONE’S PROGRAMME (নিজের কর্মসূচির চেয়ে বেশি কিছু করার আকাঙ্ক্ষা)
বহু মানুষ এই অনুভূতিতে তাড়িত হয় যে বছর পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারা এখনও তাদের জীবনকে সঠিকভাবে সাজিয়ে তুলতে পারেনি। এই অনুভূতি মূলত উদ্বেগ, প্রত্যাশা এবং আকাঙ্ক্ষার জন্ম দেয়। এটি এমন এক ব্যক্তির মতো যিনি মক্কা যেতে চান কিন্তু ব্রিক্সটন ছেড়ে যেতে পারেন না। এই আকাঙ্ক্ষা জন্ম নেয় এই ধারণা থেকে যে আমাদের নৈতিকভাবে যে কাজগুলো করা প্রয়োজন (যেমন জীবিকা নির্বাহ), তার বাইরেও কিছু করা উচিত। এই অতিরিক্ত কিছু করার ইচ্ছা সেই সমস্ত মানুষের মধ্যে সাধারণ যারা বিবর্তনের একটি নির্দিষ্ট স্তর পেরিয়ে এসেছে। এই আকাঙ্ক্ষা প্রায়শই সাহিত্যিক রূপ নেয় (যেমন বই পড়ার ইচ্ছা), তবে জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্র কেবল সাহিত্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
মূল বিষয়বস্তু:
- অনেকেই একটি অনুভূতি দ্বারা তাড়িত হন যে তারা তাদের জীবনকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারেননি।
- এই আকাঙ্ক্ষাটি হলো দৈনন্দিন জীবনধারণের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত কিছু অর্জনের ইচ্ছা।
- এই আকাঙ্ক্ষা জ্ঞানার্জনের সার্বজনীন ইচ্ছার একটি রূপ।
- যদিও অনেকেই সাহিত্য পাঠ করতে চান, তবে আত্ম-উন্নতির জন্য সাহিত্যই একমাত্র উপায় নয়।
III. PRECAUTIONS BEFORE BEGINNING (শুরুর আগে সতর্কতা)
লেখক স্বীকার করেন যে একটি নিখুঁত দৈনন্দিন সময়সূচির কোনো সহজ বা জাদুকরী গোপনীয়তা তার জানা নেই। জীবনের সময়সূচি সাজানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো এর অত্যন্ত কঠিনতা শান্তভাবে উপলব্ধি করা এবং বুঝতে পারা যে এর জন্য আত্মত্যাগ এবং নিরলস প্রচেষ্টার প্রয়োজন। যদি কেউ নিরুৎসাহিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত না থাকেন, তবে তার শুরু না করে “অস্থির তন্দ্রা” (uneasy doze) চালিয়ে যাওয়া উচিত। শুরু করার কোনো জাদুকরী পদ্ধতি নেই—যেমন সাঁতার কাটার জন্য ঝাঁপ দিতে হয়। যেহেতু আপনি আগাম সময় নষ্ট করতে পারবেন না, তাই আগামীকাল বা পরের সপ্তাহের জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই।
মূল বিষয়বস্তু:
- জীবনের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় ত্যাগ এবং অন্তহীন প্রচেষ্টার চরম কঠিনতা উপলব্ধি করতে হবে।
- শুরু করার কোনো বিশেষ কৌশল নেই; শুধু শুরু করতে হবে।
- শুরুতে অতিরিক্ত উৎসাহ (ardour) সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এটি প্রতারক এবং দ্রুত মারা যেতে পারে।
- শুরুতে খুব সামান্য দিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে এবং দুর্ঘটনা ও মানব প্রকৃতির জন্য জায়গা রাখতে হবে।
- সামান্য সাফল্য একটি মহৎ ব্যর্থতার চেয়ে শ্রেয়, কারণ এটি আত্মসম্মানকে রক্ষা করে।
IV. THE CAUSE OF THE TROUBLE (সমস্যার কারণ)
লেখক একজন সাধারণ লন্ডন অফিস কর্মীর উদাহরণ দেন (সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ এবং যাতায়াতে ৫০ মিনিট)। এই ব্যক্তির সবচেয়ে বড় এবং গভীর ভুল হলো তার দৃষ্টিভঙ্গি: সে ১০টা থেকে ৬টাকে “দিন” মনে করে এবং বাকি ১৬ ঘণ্টাকে কেবল ভূমিকা (prologue) এবং উপসংহার (epilogue) হিসেবে দেখে। তিনি কাজে কম শক্তি ব্যবহার করেন, ফলে তার ১৬টি অতিরিক্ত ঘণ্টা আগ্রহহীন হয়ে পড়ে। জীবনকে পূর্ণ ও সম্পূর্ণভাবে বাঁচতে হলে তাকে অবশ্যই তার মনে “দিনের মধ্যে একটি দিন” সাজাতে হবে, যা সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে সকাল ১০টায় শেষ হবে। এই ১৬ ঘণ্টা তার নিজের, যখন তিনি তার শরীর, আত্মা এবং সহকর্মীদের উন্নতিতে মনোনিবেশ করতে পারেন। এই ১৬ ঘণ্টার পূর্ণ ব্যবহার তার কাজের ৮ ঘণ্টার মান কমাবে না, বরং বাড়াবে, কারণ মানসিক ক্ষমতা শুধু বিশ্রাম নয়, পরিবর্তন চায়।
মূল বিষয়বস্তু:
- জীবনের ১৬টি ব্যক্তিগত ঘণ্টা কাজ করার ৮ ঘণ্টার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়—এই দৃষ্টিভঙ্গিটিই ভুল।
- পূর্ণভাবে বাঁচতে হলে ব্যক্তিকে অবশ্যই সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত একটি “দিনের মধ্যে দিন” তৈরি করতে হবে।
- এই ১৬ ঘণ্টা ব্যক্তিকে তার আত্মার উন্নয়নের জন্য একজন ব্যক্তিগত আয়ের (private income) অধিকারীর মতো স্বাধীনতা দেয়।
- মানসিক অনুষদগুলো বাহু বা পায়ের মতো ক্লান্ত হয় না; তাদের শুধু পরিবর্তন প্রয়োজন।
- সময়কে তুচ্ছ মনে করার কারণে, মানুষ স্টেশনে অপেক্ষা বা যাতায়াতের সময়কে মানসিক জড়তায় (mental coma) নষ্ট করে।
V. TENNIS AND THE IMMORTAL SOUL (টেনিস এবং অমর আত্মা)
লেখক সকালের ট্রেনে সংবাদপত্র পড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। এই সময়ে নিরবচ্ছিন্ন একাগ্রতার সুযোগ নষ্ট করা উচিত নয়। অফিস ফেরত আসার পর সাধারণ মানুষ ক্লান্তির ভান করে এবং সময় নষ্ট করে। যখন কোনো নির্দিষ্ট এবং উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা (যেমন থিয়েটার) থাকে, তখন ক্লান্তি ভুলে যাওয়া হয়; এর থেকেই বোঝা যায় যে ক্লান্তি প্রায়শই ভান। যদি সন্ধ্যায় কিছু নির্দিষ্ট করার থাকে, তবে সেই চিন্তা পুরো দিনটিকে আরও সজীব করে তোলে। লেখক পরামর্শ দেন যে নৈশভোজ যেন সন্ধ্যার সময়কে বিভক্ত না করে, যাতে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন সময় পাওয়া যায়। প্রতি দ্বিতীয় সন্ধ্যায় দেড় ঘণ্টা (90 মিনিট) মননের গুরুত্বপূর্ণ ও ধারাবাহিক অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ৯০ মিনিট পবিত্র হতে হবে। টেনিস খেলার অজুহাত দেওয়ার পরিবর্তে বলতে হবে, “আমাকে কাজ করতে হবে,” কারণ টেনিস অমর আত্মার চেয়ে অনেক বেশি জরুরি মনে হতে পারে।
মূল বিষয়বস্তু:
- সকালের ট্রেনে সংবাদপত্র পড়া উচিত নয়; এই মূল্যবান সময় নষ্ট করা ঠিক নয়।
- ক্লান্তির অনুভূতি প্রায়শই মানসিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে; উত্তেজনাপূর্ণ কাজের জন্য আমরা ঠিকই শক্তি খুঁজে পাই।
- প্রতি দ্বিতীয় সন্ধ্যায় দেড় ঘণ্টা (90 মিনিট) মননের ধারাবাহিক অনুশীলনের জন্য উৎসর্গ করতে হবে।
- এই সময়টিকে অন্য কোনো কাজের অজুহাতে বাতিল করা যাবে না।
VI. REMEMBER HUMAN NATURE (মানব প্রকৃতি মনে রাখুন)
লেখক সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে ছয় দিনের কর্মপরিকল্পনার পক্ষে মত দেন, যদিও প্রবল উৎসাহী যুবক সাত দিন কাজ করতে পারে। তিনি নিজে বার্ধক্যের কারণে এখন সাপ্তাহিক বিশ্রামের নৈতিক মূল্য উপলব্ধি করেন। এখন পর্যন্ত बचाया সময়: ছয় সকালে আধা ঘন্টা (৩ ঘণ্টা) এবং তিন সন্ধ্যায় দেড় ঘন্টা (৪.৫ ঘণ্টা)। মোট: সপ্তাহে সাড়ে সাত ঘণ্টা। লেখক দাবি করেন যে এই সাড়ে সাত ঘণ্টার পূর্ণ ব্যবহার পুরো সপ্তাহের জীবনকে সজীব করে তুলবে এবং জাগতিক কাজের প্রতিও আগ্রহ বাড়াবে। এটি শারীরিক অনুশীলনের মতোই কাজ করে, যা অল্প সময় দিলেও সারা দিন শরীরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। অভ্যাস পরিবর্তন করা কঠিন, এবং ব্যর্থতা এড়াতে অবশ্যই আত্মসম্মান রক্ষা করতে হবে। তাই শুরুটা নম্র ও বিনয়ী হতে হবে। সন্ধ্যায় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের কাজের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় হাতে রাখতে হবে (যেমন: রাত ৯টা থেকে ১১:৩০)।
মূল বিষয়বস্তু:
- গড়ে একজন ব্যক্তির সপ্তাহে ছয় দিনের অতিরিক্ত কর্মসূচি থাকা উচিত।
- সপ্তাহে সাড়ে সাত ঘণ্টা আত্ম-উন্নতির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পুরো সপ্তাহের সজীবতা বাড়াতে যথেষ্ট।
- অভ্যাস পরিবর্তন করা কঠিন, তাই শুরুটা হতে হবে খুবই সামান্য এবং বিনয়ী।
- ব্যর্থতা আত্মসম্মানের ক্ষতি করে, তাই যেকোনো মূল্যে প্রাথমিক ব্যর্থতা এড়িয়ে চলতে হবে।
VII. CONTROLLING THE MIND (মন নিয়ন্ত্রণ)
চিন্তা করার যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি সম্ভব। যেহেতু আমাদের মস্তিষ্কের বাইরে কিছুই আমাদের আঘাত করে না বা আনন্দ দেয় না, তাই মস্তিষ্কে কী চলছে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মন নিয়ন্ত্রণ পূর্ণ জীবনযাপনের প্রথম উপাদান। দিনের প্রথম কাজ হওয়া উচিত মনকে তার গতিপথে চালিত করা। এই অনুশীলনের জন্য আদর্শ সময় হলো অফিস পর্যন্ত যাতায়াতের সময়। এটি সহজ, কারণ কোনো সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই। পদ্ধতিটি হলো: একটি বিষয়ে মনোযোগ দিন, এবং মন যখনই বিচ্যুত হবে, তখনই এটিকে ফিরিয়ে আনুন। এই প্রক্রিয়ায় লেগে থাকলে সাফল্য নিশ্চিত। মনকে শাসন করার এই নিয়মিত অনুশীলনের (যার গোপনীয়তা কেবল অধ্যবসায়) মাধ্যমে আপনি দিনের যে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে আপনার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এটি উদ্বেগ (worry)—যা একটি “শাম্বল রোগ”—সহ জীবনের অর্ধেক সমস্যা দূর করে। লেখক পরামর্শ দেন, এই সময়ে মার্কাস অরেলিয়াস বা এপিক্টেটাসের একটি অধ্যায় নিয়ে মনোযোগ দিতে।
মূল বিষয়বস্তুঃ
- মস্তিষ্ক বা চিন্তাভাবনার যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
- মন নিয়ন্ত্রণই পূর্ণ জীবনের প্রথম উপাদান।
- অফিসে যাওয়ার সময় রাস্তায়, প্ল্যাটফর্মে বা ট্রেনে এই মানসিক নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন করতে হবে।
- এর জন্য অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মনকে একটি বিষয়ে বারবার ফিরিয়ে আনতে হবে।
- উদ্বেগসহ (worry) জীবনের অনেক সমস্যা মন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিরাময় করা যায়।
- মনোযোগের বিষয় হিসাবে মার্কাস অরেলিয়াস বা এপিক্টেটাসের মতো লেখকদের ব্যবহারিক দর্শন পড়া যেতে পারে।
VIII. THE REFLECTIVE MOOD (প্রতিফলিত মেজাজ)
মনোযোগ অনুশীলন কেবল একটি প্রাথমিক প্রস্তুতি। দীর্ঘমেয়াদী অধ্যয়নের বিষয় হওয়া উচিত নিজের ওপর অধ্যয়ন: “Man, know thyself”। বর্তমানের সাধারণ ভালো মানুষের জীবনে প্রতিফলনমূলক মেজাজের অভাব রয়েছে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চিন্তা করি না—যেমন আমাদের সুখের সমস্যা, জীবনের মূল দিক, বা আমাদের নীতি এবং আচরণের মধ্যে সম্পর্ক। সুখ শারীরিক বা মানসিক আনন্দ থেকে আসে না, বরং যুক্তি (reason) বিকাশের মাধ্যমে এবং নীতি অনুযায়ী আচরণ সমন্বয় করার মাধ্যমে আসে। আচরণ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে সেই জীবন অর্থহীন। প্রতিদিনের পরীক্ষা, প্রতিফলন এবং সংকল্পের মাধ্যমেই কেবল আচরণের সঙ্গে নীতির সামঞ্জস্য ঘটানো যায়। যুক্তি আমাদের জীবনে যতটা ভূমিকা রাখে বলে মনে করা হয়, তার চেয়েও কম ভূমিকা রাখে; আমরা যুক্তিবাদী হওয়ার চেয়ে বেশি স্বজ্ঞাত। বই সহায়ক হলেও, তারা নিজের দৈনিক, সৎ পরীক্ষার বিকল্প হতে পারে না। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার একাকী সময়টি এই প্রতিফলনমূলক মেজাজের জন্য উপযুক্ত।
মূল বিষয়বস্তু:
- মনোযোগ অনুশীলনের পরে, পরবর্তী ধাপ হলো নিজের ওপর অধ্যয়ন।
- সুখ অর্জনের জন্য যুক্তি বিকাশের মাধ্যমে নীতি অনুযায়ী আচরণ সমন্বয় করা প্রয়োজন।
- নীতি এবং আচরণের মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে প্রতিদিন প্রতিফলন ও সংকল্পের মাধ্যমে নিজেকে পরীক্ষা করা দরকার।
- যুক্তি আমাদের স্বজ্ঞাত আচরণের চেয়ে কম ভূমিকা রাখে; প্রতিফলন আমাদের আরও যুক্তিবাদী করে তোলে।
- বাড়ি ফেরার সন্ধ্যার যাত্রা প্রতিফলনমূলক মেজাজের জন্য উপযুক্ত সময়।
IX. INTEREST IN THE ARTS (শিল্পকলায় আগ্রহ)
অনেকেই মনে করে অলসতার একমাত্র বিকল্প সাহিত্য অধ্যয়ন, যা একটি বড় ভুল। সাহিত্য অপছন্দ হলেও জ্ঞানার্জনের বিশাল ক্ষেত্র রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সংগীত উপভোগ করার জন্য পিয়ানো বাজানোর প্রয়োজন নেই। মিউজিক বা অন্য কোনো শিল্পের ওপর বই পড়ে (যেমন: Mr. Krehbiel’s “How to Listen to Music”) অর্কেস্ট্রার গঠন সম্পর্কে ধারণা নিলে কনসার্ট শোনার অভিজ্ঞতা বহুগুণ বেড়ে যায়। একটি নিয়মিত, পদ্ধতিগত জ্ঞানের ভিত্তি তৈরি করা যেতে পারে (যেমন, সিম্ফনি বা কোনো নির্দিষ্ট সুরকারকে নিয়ে বিশেষায়িত অধ্যয়ন)। এই একই নীতি অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যেমন ছবি দেখা বা স্থাপত্যের বিচার করা।
মূল বিষয়বস্তু:
- সাহিত্যে আগ্রহ না থাকলেও মননশীল উন্নতির জন্য জ্ঞানার্জনের বিশাল ক্ষেত্র বিদ্যমান।
- শিল্পে আগ্রহ তৈরি করতে হলে পদ্ধতিগত জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন।
- যেমন, গান না বাজাতে পারলেও অর্কেস্ট্রার গঠন সম্পর্কে জেনে কনসার্ট শোনার আগ্রহ তীব্র করা যেতে পারে।
X. NOTHING IN LIFE IS HUMDRUM (জীবনে কিছুই গতানুগতিক নয়)
শিল্প মহান হলেও, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি হলো কারণ ও ফল (cause and effect) এর অবিরাম উপলব্ধি—অর্থাৎ বিবর্তনের গতিপথের উপলব্ধি। এই অধ্যয়ন মানুষকে উদারমনা এবং উদারহৃদয় করে তোলে এবং জীবনের দুঃখকে কমিয়ে দেয় (যেমন চুরি যাওয়া ঘড়ির ক্ষেত্রে)। কারণ ও ফলের ধারণা জীবনের চিত্রাত্মকতা বৃদ্ধি করে (যেমন সমুদ্রকে বাষ্প থেকে বরফের দিকে চলমান একটি উপাদান হিসেবে দেখা)। যখন কেউ যথেষ্ট পরিমাণে দুই আর দুই মেলাতে পারে, তখন মহাবিশ্বের জটিল গতিও সরল মনে হয়। এস্টেট এজেন্টের কেরানির কাজও গতানুগতিক নয়; যেমন, টিউব রেলের কারণে শেফার্ডস বুশে ভাড়ার বৃদ্ধি কারণ ও ফলের একটি সচিত্র উদাহরণ। আপনি যদি শিল্প বা সাহিত্য অপছন্দ করেন, তবে দৈনন্দিন অভ্যাসের ক্ষেত্র বা আপনার নিজের পেশাকেই কারণ ও ফলের দৃষ্টিকোণ থেকে অধ্যয়ন করতে পারেন (যেমন ব্যাংকের কেরানি Bagehot এর “Lombard Street” পড়তে পারে)।
মূল বিষয়বস্তু:
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি হলো বিবর্তন বা কারণ ও ফলের অবিরাম উপলব্ধি।
- কারণ ও ফলের অধ্যয়ন জীবনের তিক্ততা কমায় এবং জীবনের চিত্রাত্মকতা বাড়ায়।
- দৈনন্দিন জীবনের সব কিছুই কৌতূহল মেটাতে অপেক্ষা করছে; কোনো কিছুই গতানুগতিক নয়।
- নিজের পেশাকে কারণ ও ফলের দৃষ্টিতে অধ্যয়ন করলে তা জীবিকার প্রতি উৎসাহ যোগায়।
XI. SERIOUS READING (গুরুত্বপূর্ণ পাঠ)
উপন্যাসকে “গুরুত্বপূর্ণ পাঠের” তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, কারণ ভালো উপন্যাস পাঠকের কাছ থেকে কোনো সুস্পষ্ট মানসিক প্রয়োগ দাবি করে না; এগুলো পাঠককে স্রোতের মতো এগিয়ে নিয়ে যায়। মনের বিকাশের জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো কষ্ট এবং অসুবিধার অনুভূতি, যা উপন্যাসে পাওয়া যায় না। কাল্পনিক কবিতা হলো সাহিত্যের সর্বোচ্চ রূপ; এটি সবচেয়ে কঠিন মানসিক চাপ সৃষ্টি করে, সর্বোচ্চ আনন্দ দেয় এবং সর্বোচ্চ প্রজ্ঞার শিক্ষা দেয়। যারা কবিতাকে কঠিন মনে করেন, তারা হ্যারলিটের (Hazlitt) “poetry in general” প্রবন্ধটি দিয়ে শুরু করতে পারেন। এরপর এ.বি. ব্রাউনিংয়ের (E.B. Browning) আখ্যানমূলক কবিতা “Aurora Leigh” গল্পের জন্য পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি কবিতা তবুও ভালো না লাগে, তবে ইতিহাস (যেমন: “The Decline and Fall”) বা দর্শন (যেমন: Herbert Spencer’s “First Principles”) দিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ পড়ার ক্ষেত্রে দুটি পরামর্শ রয়েছে: ১) প্রচেষ্টার দিক ও পরিধি সীমিত করুন (যেমন: ফরাসি বিপ্লব বা জন কিটসের কাজ বেছে নেওয়া)। ২) পড়ার পাশাপাশি চিন্তা করুন। পড়া বিষয় নিয়ে অন্তত ৪৫ মিনিট পরিশ্রমসাধ্য প্রতিফলন না করলে ৯০ মিনিট নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মূল বিষয়বস্তু:
- গুরুত্বপূর্ণ পাঠে উপন্যাস অন্তর্ভুক্ত নয়, কারণ মনের বিকাশের জন্য যে মানসিক চাপের প্রয়োজন, তা উপন্যাসে পাওয়া যায় না।
- কাল্পনিক কবিতা হলো সাহিত্যের সর্বোচ্চ রূপ এবং এটি সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।
- পড়ার একটি সীমিত দিক বা বিষয় (Limited Period or Subject) বেছে নিতে হবে।
- অবশ্যই পড়ার পাশাপাশি চিন্তা করতে হবে; পাঠের ওপর কমপক্ষে ৪৫ মিনিট প্রতিফলন না করলে সময় মূলত নষ্ট হয়।
XII. DANGERS TO AVOID (এড়িয়ে চলার বিপদ)
পূর্ণ জীবনযাপনের জন্য আন্তরিকভাবে আকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে কিছু বিপদ এড়িয়ে চলতে হবে। প্রথম বিপদটি হলো প্রিগ (prig) বা উদ্ধত ব্যক্তি হয়ে ওঠা—যে তার আবিষ্কৃত জ্ঞান নিয়ে অন্যের কাছে গুরুত্ব চায় এবং হাস্যরসের বোধ হারিয়ে ফেলে। একজনকে মনে রাখতে হবে যে তিনি কেবল নিজের সময় নিয়ে কাজ করছেন এবং পৃথিবী তার সময়সূচি ছাড়া ভালোভাবে চলছিল এবং চলবে। দ্বিতীয় বিপদ হলো কর্মসূচির কাছে দাসের মতো বাঁধা পড়া। কর্মসূচিকে সম্মান করতে হবে, কিন্তু এটি যেন ফেটিশে পরিণত না হয়; অতিরিক্ত অনমনীয়তা ব্যক্তিগত জীবনে ট্র্যাজেডি সৃষ্টি করতে পারে। তৃতীয় বিপদ হলো ধীরে ধীরে তাড়াহুড়োর নীতিতে আচ্ছন্ন হওয়া এবং সর্বদা পরবর্তী কী করতে হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকা। এর প্রতিকার হলো কম করার চেষ্টা করা, অথবা কাজগুলোর মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে অতিরিক্ত ধীরগতিতে (যেমন পাঁচ মিনিট সচেতনভাবে নষ্ট করে) পরিবর্তন করা। সবচেয়ে বড় বিপদ হলো শুরুতেই ব্যর্থতার ঝুঁকি। শুরু করার গতি “হাস্যকরভাবে ধীর” হলেও নিয়মিত হতে হবে। অবশেষে, সন্ধ্যায় কাজের জন্য নির্বাচন করার সময় স্বাদ এবং প্রাকৃতিক ঝোঁক দ্বারা পরিচালিত হতে হবে, বাধ্যবাধকতা দ্বারা নয়।
মূল বিষয়বস্তু:
- অন্যদের চেয়ে নিজেকে জ্ঞানী মনে করা এবং হাস্যরসের বোধ হারানো—অর্থাৎ প্রিগ হওয়া—এড়িয়ে চলতে হবে।
- কর্মসূচিকে শ্রদ্ধার সাথে দেখতে হবে, কিন্তু এর কাছে দাস হওয়া যাবে না।
- তাড়াহুড়োর নীতি পরিহার করতে হবে; অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো হলে কর্মসূচি পরিবর্তন করতে হবে, অথবা সচেতনভাবে কাজের মধ্যে বিরতি নিতে হবে।
- শুরুতে ব্যর্থতা এড়াতে হবে; প্রাথমিক পদক্ষেপ অবশ্যই নিয়মিত এবং ধীরগতির হতে হবে।
- শুরুর কাজ নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ এবং প্রাকৃতিক ঝোঁককে অনুসরণ করতে হবে।
সমাপনী
“হাউ টু লিভ অন ২৪ আওয়ারস আ ডে” এর মূল বার্তা হল, বাধ্যতামূলক শ্রমের বাইরে সময়ের ইচ্ছাকৃত এবং নিয়মতান্ত্রিক ব্যবহারের মধ্যে প্রকৃত জীবন পাওয়া যায়। চব্বিশ ঘন্টা সরবরাহের অলৌকিক, স্থির প্রকৃতিকে স্বীকৃতি দিয়ে এবং আত্ম-সচেতনতার একটি ছোট, নিয়মিত প্রোগ্রামে (প্রথম দিকে সপ্তাহে সাড়ে সাত ঘন্টা) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে, একজন ব্যক্তি তার সমগ্র অস্তিত্বকে রূপান্তরিত করতে পারে। ভ্রমণের সময় মনকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রতিদিনের আত্ম-প্রতিফলনে জড়িত থাকার মতো শৃঙ্খলার মাধ্যমে, ব্যক্তি কেবল অস্তিত্বের বাইরে সম্পূর্ণ প্রাণবন্ত অবস্থার দিকে এগিয়ে যায়, যা শেষ পর্যন্ত জীবনকে কম বেদনাদায়ক এবং আরও মনোরম করে তোলে। মূল বিষয় হল একটি নম্র, নিয়মিত শুরু, ব্যক্তিগত প্রবণতা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে প্রচেষ্টা করার ইচ্ছা দ্বারা পরিচালিত: অমর আত্মার বিবর্তন।